May 18, 2024, 12:12 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী পাইকগাছায় গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মৃত্যু পাইকগাছায় সপ্তদ্বীপার সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন; পাইকগাছায় ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ মোট ১৯ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে সুন্দরগঞ্জ সাহিত্য সংসদের নতুন কমিটি গঠন বরগুনার তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাজশাহীর আম চীন, রাশিয়া বেলারুশসহ বিভিন্ন দেশে যাবে-কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ শত ভাগ পাশের সাফল্যে আঙ্গারু এস.এ বালিকা বিদ্যালয় র‌্যাব-১২’র অভিযানে ২১৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ রায়গঞ্জে কুইজ প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ
পাইকগাছায় সজিনার বাম্পার ফলন

পাইকগাছায় সজিনার বাম্পার ফলন

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
পাইকগাছায় সজিনার ব্যাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর সর্বোচ্চ সজিনার ফলন হয়েছে। সজিনায় উচ্চ মূল্য পাওয়ায় চাষীরা খুশি। শুরুতে বাজারে সজিনার কেজি দ্ইুশত টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে একশত থেকে একশত বিশ টাকা দরে পাইকারি ক্রয় করছে। মূল্যবেশি পাওয়ায় কৃষকরা সজিনার ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজনে গাছ যতœ ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষগুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায ৩৫ হেক্টর জমিতে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার সজিনা গাছ আছে। প্রতি হেক্টরে ফলন ৪ থেকে সাড়ে ৪ টন। দেশে ২টি জাত আছে, একটি হালো সজিনা ও আর একটি নজিনা। ভারত থেকে হাইব্রিড সজিনার জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজিনা গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস। গত বছর উপজেলায় ২১ হাজার সজিনার ডাল রোপন করা হয়েছে।
সজিনা গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজিনার পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুনও আছে। তাই সজিনা গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। সজিনার পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধীগুন তো আছেই। সজিনার পাতায় যে পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা অনেক পুষ্টিকর খাবারেও নেই। যেমন, ডিমের চেয়ে বেশী আমিষ, দুধের চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, কমলার চেয়ে বেশী ভিটামিন সি, কলার চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, গাজরের চেয়ে বেশী ভিটামিন এ আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর সজিনার সর্বোচ্চ ফলন হয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রতি বাড়ীতে কমবেশি সজিনা গাছ আছে। সজিনা পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনা ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।

ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা।।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD